এস.এস.সির পর কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির সকল তথ্য

এস.এস.সির পর কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির খুঁটিনাটি তথ্য

এস.এস.সি কিংবা এইচ.এস.সি পরীক্ষার পর প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পদ্ধতির কারণে শিক্ষাগ্রহণ অনেকটাই প্রতিযোগিতামূলক হয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থীই এই প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে পড়াশোনায় বিরতি দিয়ে দেন। তবে চাইলে এস.এস.সি কিংবা এইচ.এস.সি পরীক্ষার পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে যে কোনো ডিপ্লোমা কোর্সেও ভর্তি হয়ে বদলে দিতে পারেন ভবিষ্যত জীবন। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে যে কোর্সটি করতে খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা সেই কোর্সটি কোনো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে করতে খরচ পড়ে ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে নির্ধারিত ফলাফল ও পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলেও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানসমূহে নিজেদের ইচ্ছামতো শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে। তবে প্রাইভেট কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো খুবই উন্নতমানের শিক্ষা প্রদান করে থাকে। সরকারি / বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় এবং পরীক্ষা শেষে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদপত্র প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেসকল কোর্স পরিচালনা করে থাকে তার মধ্যে রয়েছে –

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং
এই কোর্সের অধীনে যেসকল বিষয় রয়েছে সেগুলো হলো – আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন, কনস্ট্রাকশন, গার্মেন্টস ডিজাইন এন্ড প্যাটার্ন ম্যাকিং, ইনভায়রমেন্টাল, ইন্সটুমেনসন এন্ড প্রসেস কন্ট্রোল, মেকানিক্স, মাইনিং এন্ড মাইন সার্ভে, টেলিকমিউনিকেশন, আর্কিটেকচার, সিভিল (উড), কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, ফুড, মেকানিক্যাল, পাওয়ার, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার কন্ডিশনিং, সিরামিক, গ্লাস, সার্ভেয়িং, মেরিন, শিপবিল্ডিং, এয়ারক্রাফট মেইনটেনেন্স (অ্যারোস্পেস), এয়ারক্রাফট মেইনটেনেন্স (এভিয়নিক্স), অটোমোবাইল, কেমিক্যাল, সিভিল, ডাটা টেলিকমিউনিকেশন এন্ড নেটওয়ার্কিং, কম্পিউটার সাইন্স, ইলেক্টো মেডিকেল, প্রিন্টিং, গ্রাফিক ডিজাইন।

ভর্তির যোগ্যতা ও আবেদনের নিয়ম
এস.এস.সি কিংবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এবং গণিত বা উচ্চতর গণিতে কমপক্ষে জিপিএ ৩.০০ সহ ন্যূনতম ৩.৫০ জিপিএ থাকতে হয়। এছাড়া এস.এস.সি সহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ২ বছর মেয়াদি ট্রেড কোর্স পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ২২ বছর বয়সের অধিক কেউ আবেদন করতে পারে না। ভর্তির জন্য আবেদন করতে হয় অনলাইনে। ওয়েবসাইট: www.techedu.gov.bd । তবে উপজাতি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/পোষ্য এবং ২ বছর মেয়াদী ট্রেড কোর্সধারী আবেদনকারীদের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করার পর তার প্রিন্ট আউট কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজ সহ ডাকযোগে কিংবা সরাসরি নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে পৌঁছাতে হয়। ভর্তি পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০ টাকা টেলিটক প্রি-পেইড সংযোগের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। এজন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে DTE লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, স্পেস এস.এস.সি পরীক্ষার রোল নম্বর, স্পেস এস.এস.সি পাশের সন, স্পেস এস.এস.সি রেজিষ্ট্রেশন নম্বর লিখে 16222 নাম্বারে এস.এম.এস করতে হয়। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদান করা হয়। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা ওয়েবসাইটে এবং মোবাইল ফোনে এস.এম.এস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়। এই কোর্সের মেয়াদ ৪ বছর এবং ৮ সেমিস্টারে বিভক্ত। প্রতি সেমিস্টারের মেয়াদ ৬ মাস।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন কোর্সে দুই শিফটে ভর্তি করা হয়। যেসকল শিক্ষার্থী বর্তমান বছরে উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং পূর্ববর্তী ২ বছরে উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা ১ম শিফটে আবেদন করতে পারেন। আর অন্য কোনো বছরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ২য় শিফটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারে।

৫০ নম্বরের লিখিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজি থেকে ১৫ নম্বর, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন থেকে ১৫ নম্বর, গণিত থেকে ১৫ নম্বর এবং সাধারণ জ্ঞান ৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। এসএসসির জিপিএকে ১০ দ্বারা গুণ করে প্রাপ্ত স্কোরের সঙ্গে লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হয়।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশের পর
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর ডুয়েট, বিভিন্ন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, আইইবি ইত্যাদি প্রতিষ্টান থেকে বিএসই ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী নেওয়া যায়। চাকরির ক্ষেত্রেও এর চাহিদা রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেমন – সড়ক বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি সুযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে – নাভানা, রহিম আফরোজ সহ বিভিন্ন পাওয়ার প্লান্ট, মোবাইল কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। 

এছাড়াও সরকারি/বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আরও কিছু বিষয়ের উপর কোর্স পরিচালনা করা হয়। যেমন –
ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার
এই কোর্সের অধীনে শুধুমাত্র একটি বিষয় পড়ানো হয়। সেটি হলো – এগ্রিকালচার।
ভর্তির যোগ্যতা: এস.এস.সি কিংবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
কোর্সের মেয়াদ: ৪ বছর
ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল
এই কোর্সের অধীনে যেসকল বিষয় রয়েছে সেগুলো হলো – ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং, ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং, ওয়েট প্রসেসিং, গার্মেন্টস এন্ড ক্লথিং।
ভর্তির যোগ্যতা: এস.এস.সি কিংবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
কোর্সের মেয়াদ: ৪ বছর
ডিপ্লোমা ইন ফিশারিস
এই কোর্সের অধীনে শুধুমাত্র একটি বিষয় পড়ানো হয়। সেটি হলো – ফিশারিস।
ভর্তির যোগ্যতা: এস.এস.সি কিংবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
কোর্সের মেয়াদ: ৪ বছর
ডিপ্লোমা ইন জুট টেকনোলজি
এই কোর্সের অধীনে শুধুমাত্র একটি বিষয় পড়ানো হয়। সেটি হলো – জুট।
ভর্তির যোগ্যতা: এস.এস.সি কিংবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
কোর্সের মেয়াদ: ৪ বছর
ডিপ্লোমা ইন হেলথ টেকনোলজি এন্ড সার্ভিসেস
এই কোর্সের অধীনে যেসকল বিষয় রয়েছে সেগুলো হলো – মেডিকেল, ডেন্টাল, ল্যাবরেটোরি, ফিজিওথেরাপি, রেডিওলজি এন্ড ইমাজিং, ফার্মা, পেশেন্ট কেয়ার, ইন্টিগ্রেটেড মেডিকেল।
ভর্তির যোগ্যতা: এস.এস.সি কিংবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
কোর্সের মেয়াদ: ৩ বছর
ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রি
এই কোর্সের অধীনে শুধুমাত্র একটি বিষয় পড়ানো হয়। সেটি হলো – ফরেস্ট্রি।
ভর্তির যোগ্যতা: এস.এস.সি কিংবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
কোর্সের মেয়াদ: ৩ বছর
এইচ.এস.সি ভোকেশনাল
কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচ.এস.সি সমানের এই কোর্সটিকে বলা হয় এইচ.এস.সি ভোকেশনাল কোর্স। এই কোর্সের অধীনে রয়েছে – এগ্রো-মেশিনারি, অটোমোবা্ল বিল্ডিং মেইনটেনেন্স এন্ড কনস্ট্রাকশন, ক্লথিং এন্ড গার্মেন্টস ফিনিশিং, কম্পিউটার অপারেশন এন্ড মেইনটেনেন্স, ড্রাফটিং সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস এন্ড মেইনটেনেন্স, ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল এন্ড কমিউনিকেশন, ফিশ কালচার এন্ড ব্রিডিং, মেশিন টুলস অপারেশন এন্ড মেইনটেনেন্স, পোল্ট্রি রেয়ারিং এন্ড ফার্মিং, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার-কন্ডিশনিং, ওয়েলডিং এন্ড ফেব্রিকেশন, ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল উড ওয়ার্কিং, ওয়েট প্রসেসিং, ইয়ার্ন এন্ড ফেব্রিক ম্যানুফেকচ্যারিং।
ভর্তির যোগ্যতা: এস.এস.সি কিংবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
কোর্সের মেয়াদ: ২ বছর
এইচএসসি বিএম
এই কোর্সের অধীনে যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো হলো – অ্যাকাউন্টিং, ব্যাংকিং, কম্পিউটার অপারেশন, ইন্টারপ্রিনিয়রশীপ, ডেভেলপমেন্ট, সেক্রেটারিয়াল সাইন্স।
ভর্তির যোগ্যতা: এস.এস.সি কিংবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
কোর্সের মেয়াদ: ২ বছর
ডিপ্লোমা ইন কমার্স
এই কোর্সের অধীনে রয়েছে – সেক্রেটারিয়াল সাইন্স ও অ্যাকাউন্টিং।
ভর্তির যোগ্যতা: এস.এস.সি কিংবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
কোর্সের মেয়াদ: ২ বছর
সার্টিফিকেট ইন ভোকেশনাল এডুকেশন
এই কোর্সের অধীনে রয়েছে – ইলেকট্রিক্যাল, অটোমোটিভ, রেফ্রিজারেমন, রেডিও-টিভি, কার্পেন্ট্রি, মেকানিস্ট, ওয়েলডিং, ফার্ম মেশিনারি।
ভর্তির যোগ্যতা: এস.এস.সি কিংবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
কোর্সের মেয়াদ: ১ বছর
সার্টিফিকেট ইন হেলথ টেকনোলজি এন্ড সার্ভিসেস
এই কোর্সের অধীনে রয়েছে – মেডিকেল, ডেন্টাল, ল্যাবরেটরি, ফিজিওথেরাপি, রেডিওলজি এন্ড ইমাজিং, ফার্মা, পেশেন্ট কেয়ার, প্যারামেডিকেল।

ঢাকার কিছু পলিটেকনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ও যোগাযোগ
প্রতিষ্ঠানের নাম
ঠিকানা ও যোগাযোগ
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
শেরে বাংলা নগর, ঢাকা।
ফোন: ৯১১৬৭২৪
ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
শের-এ-বাংলা নগর, আগারগাঁও, ঢাকা।
ফোন: ৯১১৪০১৩, ০১৭১৮-২০৫১৮৮
কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজি
সেক্টর-১১, রোড-২, বাড়ি-১৪, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন : ৮৯৯১৩৭১, ০১৯৩৭১৮২৪৭০
এরোনটিক্যাল ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ
বাড়ী- ২১, সড়ক- ০১, সেক্টর- ১৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা।
ফোন: ৮৯১৫৩৭৩, ০১৮২৭-৫৫৭৭৭৮
অ্যারোনটিক্যাল কলেজ অব বাংলাদেশ
বাড়ি-৩৮, রোড-২০, সেক্টর-১১, উত্তরা মডেল টাউন, উত্তরা, ঢাকা। ফোন : ৮৯৯১২৪০, ০১১৯১৭৯১৭৮০, ০১৯৮৩৫৮৪২৩৯
কলেজ অব টেক্সটাইল টেকনোলজি
ঌ২, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সরণি তেজগাঁও ১/এ, ঢাকা - ১২০৮, বাংলাদেশ
ফোন: ঌ১১৪২৬০
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল
৯২, শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ সরণি, তেজগাঁও, ঢাকা-১২০৮।
ওয়েবসাইট- www.butex.edu.bd  
ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি
বাড়ি-৬৮, রোড-৪, ব্লক-বি, সেকশন-১২, মিরপুর, ঢাকা।
ফোন- ০২-৮০৬০৮৫৭, ০১৭৩-৩৬১২২৬১
বাংলা-জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার
সেকশন # ২, মিরপুর, ঢাকা।
ফোন: ৯০০২০১৮, ৯০০২৭১৩
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস এন্ড সিরামিকস
তেজগাঁও, ঢাকা।
ফোন: ৯১১০৩১৯, ০১৭১৮-২০৫১৮৮
বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিএসডিআই)
বাড়ি : ২/বি, রোড : ১২, ধানমণ্ডি, মিরপুর রোড, ঢাকা-১২০৯।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি
১২২, নিউ কাকরাইল, ঢাকা।
ফোন: ৯৩৩২০৮৪, ০১৭১৫-৩২১৮২৭, ০১৭১৫-৪৪৭৪৯৩
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (বিআইএমটি)
বন্দর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা। ফোন : ৭৬৬১১১৯, ৭৬৪৭৭২৬
স্মার্ট কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি
১৪৭/১, কুপার্স বিল্ডিং, বিজয় সরণি, ঢাকা।
ফোন: ৯১৩৪৬৯৬, ০১৭১১-০৫৪৪০৪
মাল্টিমিডিয়া কম্পিউটার এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি
২৫১, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা।
ফোন: ৮৬২৯৪৯৮, ৮৬২৯৪৯৯
রাবিতা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
৫/২, গজনবী রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি
হাউজ # ৫৪, রোড # ১৫এ (নতুন), ২৬ পুরাতন, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা।
ফোন: ৮১১৯৭৮০, ৯১৪৪৩৩৫, ০১৭২৬৯৩৭৯১০
শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
১৬/সি-ডি নূরজাহান রোড (সাত মসজিদ সুপার মার্কেট সংলগ্ন), বাঁশবাড়ী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।
ফোন: ৯১৪৩২৮৬, ৮১১৬৬৩৮, ৮১৩০১৪৬, ৯১২৪০২৮
উত্তরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
হাউজ # ৩৬, রোড # ১, সেক্টর # ৯, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ৮৯২০৯২৬, ০১৯১৪-২৫৯০৫৭, ০১৫৫২৩৫২১৬০
ঢাকা ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি
হাউজ # ৭, রোড # ৪, ধানমন্ডি, ঢাকা।
ফোন: ৯৬৬৮৮৬৬
রাজধানী পলিটেকনিক এন্ড টেক্সটাইল কলেজ
৫০, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, রসুলবাগ, মহাখালি, ঢাকা।
ফোন: ০১৭১৫-৬৯৭৮৩৪, ০১৯১১-২৫০০৬১, ০১৭১২-১৩৬৫৮০
সেন্টার ফর কম্পিউটার স্টাডিস
হাউজ # ৫০৯, রোড # ৭, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা।
ফোন: ৯১২১০৭৯, ৯১১৬৫৩৫
সিগমা ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি
২৬০/৬, মালিবাগ, ঢাকা।
ফোন: ৯৩৫৯১২৪, ০১৫৫২-৪৪০৭০৯, ০১১৯১-৬৭৯৯২৯
মিরপুর ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি
৩৪, জামাল ম্যানশন, মিরপুর – ১০, ঢাকা।
ফোন: ৮০২১৫৫৮, ০১৮১৯-২৮৩৭৩৩, ০১৬৭৬-২৮০৮৪৩
টেকনিক্যাল এন্ড ভোকেশনাল এডুকেশন ইনস্টিটিউট
১৪৩, গ্রীন রোড, ঢাকা।
ফোন: ৯১৩৭৫৬৮, ০১৬৭০-৭৬১৭১৯, ০১৭১২-০০৯৭৮৭
আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি
১০৫, সেনপাড়া পর্বতা, মিরপুর – ১০, ঢাকা।
ফোন: ৯০১৫৫২৫, ০১৭২২-১২১০৬২, ০১৮১৯-২৭৯৬৯৭
আলহাজ মকবুল হোসেন ডিগ্রী কলেজ
মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, ঢাকা।
ফোন: ০১৭২১-৬২৩২৩৪, ০১৭১৬-২২৬৮০৬, ০১৯১৩-৩৭৪৯২০
ইনস্টিটিউট অব সাইন্স ট্রেড এন্ড টেকনোলজি
প্লট # ১/৯, রোড # ২, ব্লক # ডি, সেকশন # ১৫, মিরপুর, ঢাকা।
ফোন: ৮০৫৬৫০৮, ০১৯১৫-৫৩৪২৫৪
ইনস্টিটিউট অব কমিউনিকেশন টেকনোলজি
১৬, আলাওল এভিনিউ, সেক্টর # ৬, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ৮৯১৩৭০৮, ০১১৯১-৫৫৬০৮৯, ০১১৯১-৫৫৬০৯১
আলফা ইনস্টিটিউট অব সাইন্ট এন্ড টেকনোলজি
ফোন: ৮৪১৬৩৭৬, ০১৬৭২-৯৫৯৫৩২
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস
ফোন: ০১৭১৭-২৫১৫৮৫, ০১৮১৯-২৮৭৯৫৭
রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন
হাউজ # ২, রোড # ১৫ (নতুন), ২৮ (পুরাতন), অর্কিড প্লাজা (৩য় তলা), দক্ষিণ, ধানমন্ডি, আর/এ, ঢাকা।
ফোন: ০১৭১১-১৪০০০০, ০১৮১৭-১৪১৮২৪
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি
২৯/১, কারওয়ান বাজার (প্যন প্যসিফিক সোনারগাঁ হোটেলের বিপরীতে), ঢাকা।
ফোন: ০১৭১৩-১১৬৩১৩, ০১৯৭১-৩৩৯৯৯৯, ০১৭৩১-২২০০৯৯
আইসানিয়া ইনস্টিটিউ অব টেকনোলজি এন্ড বিজনেস
বাড়ী-৩১/এ, রোড-৬, ধানমন্ডি, ঢাকা
ফোন: ৯৬১৪৫৯৫
বাইনারী ইনফরমেশন টেকনোলজি

কুশল সেন্টার (৩য় তলা), মেইন রোড, সেক্টর # ৩, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০২-৮৯১৪৮৩৪, ০১৮২১-৪৭০১০২
তাজউদ্দিন সিকদার ইনস্টিটিউট মেডিকেল টেকনোলজি
মল্লিক টাওয়ার, ১৩-১৪ চিড়িয়াখানা রোড, মিরপুর- ১, ঢাকা। (আমেরিকা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস)
ফোন: ৯০০৩৮২২, ৯০১০৪৫০
সেন্টার ফর টেকনোলজি ট্রান্সফার লিমিটেড
সংগীতা ভবন, ৫/এফজিএইচ, দারুসসালাম রোড
মিরপুর ১, ঢাকা।
ফোন: ৯০০৩৮২২, ৯০১০৪৫০
অতীশ দিপংকর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
৫৩/১ পুরানা পল্টন লেন ও ৬৯/ই, বীরউত্তম কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক, পান্থপথ, ঢাকা।
ফোন: ০১১৯৫৩৭৩৪৪১, ৯৬১৪৯২৫

বিষয়ভিত্তিক কিছু কোর্সের বিবরণ
ডিপ্লোমা ইন এয়ারক্রাফট মেইনটেনেন্স
বর্তমান সময়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোর মধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এয়ারক্রাফট মেইনটেনেন্স। সংক্ষেপে বলা হয় ‘এএমই’। এই কোর্সটি দুই ভাগে বিভক্ত যেমন - অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এভিয়নিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং। এয়ারক্রাফট মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার হলেন একজন লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তি যিনি উড়োজাহাজের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করেন। তার সদন পেলেই কেবল উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করতে পারে। অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ এমন একটি মেশিন তৈরি করা যা আকাশে নিরাপদে উড়তে পারে। এায়ারফ্রেম তৈরি, এয়ারক্র্যাফট ও এর যন্ত্রপাতি সংযোগ স্থাপন, উন্নয়ন ও মেরামত করা, ফ্লাইট টেস্ট এসব কাজও এই প্রকৌশলীদের করতে হয়। আর উড়োজাহাজের ফ্লাইট ডায়মানিক্স, কোয়ালিটি, স্ট্যাবিলিটি পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ সিস্টেম নিয়ে এভিয়নিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং। অ্যাকসেলারোমিটার, গাইরোস্কোপ, ফ্লাইট ইন্সট্রুমেন্টস, সেন্সর একুরেটর, লিনিয়ার ইলেকট্রনিক্স সার্কিট প্রভৃতি নিয়ে কাজ করতে হয় এসব ইঞ্জিনিয়ারদের।

বিটেক এডেক্সেলের আওতায় পরিচালিত হয় এই কোর্স। এতে ক্রেডিট ট্রান্সফার করার সুযোগও রয়েছে। চার বছর মেয়াদী এই কোর্সটি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। যেমন - প্রথম দেড় বছরে সম্পন্ন হয় লেভেল থ্রি বা ন্যাশনাল ডিপ্লোমা, এতে প্রতিষ্ঠানভেদে খরচ পড়ে ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। পরবর্তী দেড় বছরে সম্পন্ন করা হয় লেভেল ফাইভ বা হায়ার ন্যাশনাল ডিপ্লোমা। এই স্টেজে এসে খরচ বেড়ে দাঁড়ায় প্রতিষ্ঠানভেদে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। শেষ এক বছরে সম্পন্ন করতে হবে টপ-আপ বিএসসি, যা প্রদান করবে যুক্তরাজ্যের কিংসটন বিশ্ববিদ্যালয়। এর খরচও সেমিস্টারভিত্তিক প্রদান করতে হয় কিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই কোর্সে আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান উভয় বিষয়ে ৩.৫ জিপিএ থাকতে হয়।

ডিপ্লোমা ইন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং
নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি নামক প্রতিষ্ঠানটি থেকেই শুধুমাত্র এই কোর্সটি করা যায়। মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি দুই ভাগে বিভক্ত। একটি মেরিন টেকনোলজি ও অন্যটি শিপবিল্ডিং টেকনোলজি। এ দুটি কোর্সেরই মেয়াদ চার বছর। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী এখানেও মুক্তিযোদ্ধা এবং উপজাতীয় কোটা সংরক্ষিত রয়েছে। ডিপ্লোমা পর্যায়ে দুটি কোর্সে মোট ৪৮ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। কোর্স শেষে উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কোনো প্রতিষ্ঠানে যোগ দিলে শুরুতে বেতন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হয়। সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে এ কোর্স করা ছাত্রদের ভালো চাহিদা রয়েছে।

ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে চারটি বিভাগে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স করা যায়। বিভাগগুলো হচ্ছে ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং (এখানে তুলা ও পাটের আঁশ থেকে সুতা তৈরি করা শেখানো হয়), ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং (সুতা থেকে কাপড় তৈরি), ওয়েট প্রসেসিং (রং করা) ও ক্লথিং টেকনোলজি (গার্মেন্টস)। দেশে ছয়টি সরকারি এবং ১৮টি বেসরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট রয়েছে। ভর্তির জন্য কোনো লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় না। সর্বোচ্চ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকার ভিত্তিতে চারটি ডিপার্টমেন্টে ২০ জন করে মোট ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। মেয়ে, আদিবাসী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রবাসী সন্তানদের জন্য আলাদা কোটা রয়েছে। কোর্স শেষে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএসসি সম্পন্ন করা যায়। চাকরি ক্ষেত্রে সুতা প্রস্তুতকারী কল-কারখানা বা গার্মেন্টে চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ পেশায় শুরুতে বেতন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা হতে পারে। সরকারিভাবে দিনাজপুর, টাঙ্গাইল ও বরিশালে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট রয়েছে। সরকারি ছাড়াও বর্তমানে বেশ কিছু বেসরকারি ইনস্টিটিউট টেক্সটাইল টেকনোলজি চালু করেছে।

ডিপ্লোমা ইন সার্ভে
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোর মধ্যে চাকরির বাজার এই কোর্সটির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তবে আসন সংখ্যা খুব সীমিত। সরকারি পর্যায়ে কুমিল্লা ও রাজশাহীতে দুটি সার্ভে ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিটি ইনস্টিটিউটে ৮০ জন করে ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়া হয়। তবে সরকারি নিয়মানুযায়ী দুটি ইনস্টিটিউটেই ছাত্রীদের জন্য ১০ ভাগ এবং এসএসসি ভোকেশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫ ভাগ কোটা আছে। এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও কোটা সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। এই কোর্সে শেখানো হয় - কোনো কিছুর সঠিক মাপজোখ করা। যেমন- জমি-জমা, গ্যাসকূপ, নদী বা সমুদ্রের গভীরতা, রাস্তাঘাট, বন-জঙ্গল ইত্যাদি। আর এ জরিপকাজ বিভিন্ন পদ্ধতিতে হয়ে থাকে; যেমন কনস্ট্রাকশন সার্ভে, জিওলজিক্যাল সার্ভে, সিসমিক সার্ভে, সয়েল সার্ভে, হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে ইত্যাদি। এ কোর্স এসব সার্ভে কিভাবে করা হয় এবং কোন কোন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় তা হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কোর্স শেষে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, তিতাস গ্যাস, ভূমি অফিসে চাকরির সুযোগ রয়েছে। আর বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট ও জরিপ কম্পানি ছাড়াও বিদেশি কম্পানিতে কাজের সুযোগ রয়েছে। সরকারিভাবে এই কোর্সটি করতে খুব বেশি খরচ হয় না।

ডিপ্লোমা ইন টেলিকমিউনিকেশন
কর্মমুখী শিক্ষার মধ্যে টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টিরও চাহিদা রয়েছে। একজন টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার যেকোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে Sub Assistant Engineer হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন। এছাড়া যেকোনো প্রতিষ্ঠানে Mid Level Engineer, BTS Installer, Network Administrator অথবা Assistant Telecom Engineer হিসেবে কাজের সুবিধাও রয়েছে। এছাড়া একজন শিক্ষার্থী টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পাসের পর চাকরির পাশাপাশি সান্ধ্যকালীন ব্যাচে দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্বল্পতম সময়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এমএস/এমএসসি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ লাভ করতে পারেন। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম ৪ বছর মেয়াদি ৮ সেমিস্টারে সম্পন্ন হয়, প্রতি সেমিস্টারে ৬ মাস অন্তর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদপত্র লাভ করে।

ডিপ্লোমা ইন অটোমোবাইল টেকনোলজি
মোটরযান সম্পর্কিত সকল তাত্বিক ও ব্যবহারিক এবং ড্রাইভিং ইত্যাদি বিষয়সহ ইঞ্জিনের খুটিনাটি সবকিছুই এই টেকনোলজীতে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিআরটিসি, বিআরটিএ, বি.আই.ডাব্লিউ.টি.সি সহ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং গাড়ী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের দেশে/বিদেশে এবং সরকারী/বেসরকারী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে চাকুরির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর পড়াশোনা করানো হয়। চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে ন্যূনতম এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাস করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা করলে খুব বেশি টাকা লাগে না, কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা করতে দুই থেকে তিন লাখ টাকা লাগে।
 বিস্তারিত দেখুন:

3 comments:

  1. ঢাকা তে গুলশান মহাখালী বাড্ডা রামপুরা এসব এলাকায় এস এস সি ভোকেশনাল কোর্স এর কোনো স্কুল আছে কি ?

    ReplyDelete
  2. ঢাকা তে গুলশান মহাখালী বাড্ডা রামপুরা এসব এলাকায় এস এস সি ভোকেশনাল কোর্স এর কোনো স্কুল আছে কি ?

    ReplyDelete
  3. ২০১৩ সালে এস এস সি পাস করেছি। আমি কী কোন কোর্সে ভর্তি হতে পারবো?

    ReplyDelete